আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী🔜

চলুন জেনে নিই  আলবার্ট আইনস্টাইনের জীবনী সম্পর্কেঃ

আলবার্ট আইনস্টাইন

সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানীদের তালিকায় বিজ্ঞানী আলবার্ট আইনস্টাইনের নামটি সবচেয়ে উপরের দিকেই থাকবে।


আলবার্ট আইনস্টাইনের জন্ম ১৮৭৯ সালের ১৪ মার্চ, জার্মানির এক ইহুদি পরিবারে হয়েছিলো। তার পিতার নাম হেরমান আইনস্টাইন ও মাতার নাম পৌলিন আইনস্টাইন। 


জন্মের সময় তারমধ্যে এমন একটি পার্থক্য ছিলো যা অন্য বাচ্চার থেকে তাকে আলাদা দেখাত। সেটি ছিলো তার মাথার আকৃতি, আইনস্টাইনের মাথার আকার অন্য বাচ্চাদের থেকে আকারে বড়ো ছিলো।


ডাক্তার আইনস্টাইনের কথা বলতে পাড়া নিয়ে সন্দিহান ছিলেন কারণটি ছিলো তার মাথার বড়ো আকৃতি, কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে চার বছর বয়সে এক রাতের খাবার খাওয়ার সময়ে Einstein পরিবারের সবাইকে অবাক করে বলে ওঠেন স্যুপটি খুব গরম। তার কণ্ঠস্বর শুনে তার পিতা মাতা স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।


আইনস্টাইন ছোটবেলা থেকেই তার সমবয়সি বালকদের সাথে বেশি মিশতেন না এবং খেলতে পছন্দ করতেন না সে সবসময় আশপাশের বিভিন্ন বস্তু ও বিশ্ব জগতের বিষয়ে চিন্তা করায় নিজেকে ব্যাস্ত রাখতেন।


আলবার্ট আইনস্টাইন সবসময় বলতেন যে আমার মধ্যে এমন বিশেষ কোনো গুন্ নেই যেটা আপনারা ভাবেন, আমিতো এমন একজন ব্যাক্তি যার মনের মধ্যে জিজ্ঞাসা ও জানার ইচ্ছায় পরিপূর্ণ।


বিজ্ঞানী আইনস্টাইন 1905 খ্রিস্টাব্দের তার বিখ্যাত আপেক্ষিকতাবাদ তত্ত্বে বলেন যে ভর ও শক্তির পরস্পরের তুল্য অর্থাৎ ভরকে শক্তিতে ও শক্তিকে ভরে রূপান্তরিত করা যায় । m পরিমাণ ভর শক্তিতে রূপান্তরিত হলে E=mc2 পরিমাণ শক্তি পাওয়া যায়।


  E=mc2 সূত্রটি আবিষ্কারের জন্য  তিনি ১৯২১ সালে পদার্থবিজ্ঞানে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানে তার বিশেষ অবদান এবং আলোক-তড়িৎ ক্রিয়া সম্পর্কিত গবেষণার জন্য তিনি এই পুরস্কার লাভ করেন।


আইনস্টাইন ৩০০টিরও অধিক বৈজ্ঞানিক গবেষণাপত্র এবং ১৫০টির বেশি বিজ্ঞান-বহির্ভূত গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছেন। ১৯৯৯ সালে টাইম সাময়িকী আইনস্টাইনকে "শতাব্দীর সেরা ব্যক্তি" হিসেবে ঘোষণা করেছে। এছাড়া বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানীদের একটি ভোটের মাধ্যমে জানা গেছে, তাকে প্রায় সকলেই সর্বকালের সেরা পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছেন।দৈনন্দিন জীবনে মেধাবী এবং প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন কাউকে প্রায়শই "আইনস্টাইন" বলে সম্বোধন করা হয়।


আলবার্ট আইনস্টাইন


আইনস্টাইন শুধু প্রখর বুদ্ধিসম্পন্ন ব্যাক্তিই ছিলেন না, তিনি রসাল ব্যক্তি হিসেবেও বিবেচিত।


আপেক্ষিকতা তত্ত্ব আবিষ্কার করে তিনি তখন বিখ্যাত ও বিতর্কিত। সত্যি কথা বলতে কি, বিজ্ঞানী-অবিজ্ঞানী কারোর মাথায় ব্যাপারটা কাজ করতে পারছিল না। তিনি বিভিন্ন সভা সেমিনারে, বিশ্ববিদ্যালয়ে তাঁর উদ্ভাবিত তত্ত্বটি বোঝাতে লেকচার দিতে যেতেন। প্রায় সব সেমিনারে তিনি একই ধরনের আলোচনা করতেন। একবার এমনই এক সেমিনারে তিনি আমন্ত্রিত হয়েছেন, লেকচার দেবার জন্য। পথিমধ্যে তাঁর ড্রাইভার করে বসল এক আজব আবদার। বলল, ‘স্যার, আপনার লেকচারগুলো শুনতে শুনতে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে। আজ একদিনের জন্য আমি আইনস্টাইন সেজে সেমিনারে বক্তব্য চাই।’ মজার মানুষ আইনস্টাইনেরও কথাটা খুব মনে লাগল। তিনি এক কথায় রাজি। দেখাই যাক না, ব্যাপারটা কী হয়!

ড্রাইভার আইনস্টাইন সেজে অনুষ্ঠানে গেল বক্তব্য দিতে আর স্বয়ং আইনস্টাইন দর্শক সারিতে বসে রইলেন আইনস্টাইনেরই ড্রাইভার হয়ে। তখন তো আর মিডিয়ার এত আধুনিকতা ছিল না। তাই ব্যপারটা কেউ বুঝতে পারল না। আইনস্টাইনরুপে ড্রাইভার মঞ্চে বক্তব্য রাখল । দর্শক সারিতে বসে মুগ্ধ আইনস্টাইন বার বার হাত তালি দিতে লাগলেন। অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত একজন আইনস্টাইনের ড্রাইভারের কাছে গিয়ে বললেন, ‘আপনার বক্তব্যটি আমার খুব ভাল লেগেছে। কিন্তু কি জানেন, আমি এই বিষয়টি একদম বুঝতে পারিনি। আপনি কি অনুগ্রহ করে আমাকে বিষয়টি বুঝিয়ে দেবেন?’ আইনস্টাইনের ড্রাইভার বিন্দুমাত্র না ঘাবড়ে উত্তর দিল, 'ওহ! এই ব্যাপার? এই ছোট্ট ব্যাপারটা তো আমার ড্রাইভারই বুঝিয়ে দিতে পারবে। চলুন তার কাছেই যাই।'


আইনস্টাইন পদার্থ বিজ্ঞানে ব্যাপক অবদান রেখেছেন। 
১৯৫৫ সালে ৭৬ বছর বয়সে অ্যালবার্ট আইনস্টাইল মৃত্যুবরণ করেন।

Comments

Popular posts from this blog

সূরা আল-ইনশিরাহ(পরিচয়,শানে নুযুল ও শিক্ষা )

ফ্রি ফায়ারের এর জনক কে??কোন দেশে তৈরি??

স্বামী স্ত্রীর মজার জোকস